কাউকে ভালোবাসার মধ্যে দারুণ কিছু Philosophy কাজ করে.. হয়ত কারো কারো মানতে কষ্ট হবে! তারপরেও এগুলো সত্যি!
আমরা কাউকে ভালোবাসি তাকে সুখে রাখার জন্য না, নিজেরা সুখে থাকার জন্য.. পৃথিবীতে কেউ কখনো অন্যের জন্য কিছু করে নাহ! ভালোবাসার মানুষটা সাথে থাকলে খুব ভালো লাগে, এই ভালো লাগাটা নিজের.. প্রিয় মানুষটা যখন অন্য কারো সাথে সারাজীবন সুখী থাকে, তখন আমরা তার সুখে থাকাটা অনুভব করতে চাই না, কারণ আমরা তখন নিজেরা সুখী না সেই মানুষটাকে না পেয়ে.. কেউ কখনো প্রিয় মানুষকে উপকার করে না, প্রিয় মানুষটাকে সাপোর্ট করে না, প্রিয় মানুষের ভরণপোষণ করে না.. যা করে, সব নিজের satisfaction এর জন্য, কারণ প্রিয় মানুষকে উপকার করে, সাপোর্ট করে আমরা মানসিকভাবে সুখী থাকি!
ভালোবাসাতে খুব বেশি কাছে যাওয়া যেমন ক্ষতিকর, খুব বেশি দূরে চলে যাওয়াও ক্ষতিকর! নিজেকে সবকিছুতে সহজলভ্য করে দিলে ইমোশনের মূল্য থাকে না.. মানুষ বার বার বলা কথায় যেমন মূল্য দেয় না, বার বার ভালোবাসা প্রকাশ করতে থাকলে সেটাও মূল্যহীন হয়ে যায়..
মেয়েরা ভালোবাসার প্রমাণ চায়, ছেলেরা প্রমাণ দেখাতে চায়.. হাত কাঁটা থেকে শুরু করে ছ্যাঁচড়ার মত পেছন পেছন ঘুরতে থাকা প্রমাণ গুলো একটা মেয়ের কাছে যথেষ্ট! এমন অনেক ছোট বোনদের দেখেছি, দুই-চার দিন পায়ে পড়ে কান্না করছে বলে ছেলেটা তার কাছে সবচেয়ে আপন হয়ে গেছে..! নিজের হাত কাটতে পেরেছে বলে ছেলেটা এখন হিরো হয়ে গেছে.. যে মানুষ ভালোবাসার প্রমাণের জন্য নিজের হাত কাটে, সে কখনোই নিজেকে ভালোবাসে না.. যে নিজেকে ভালোবাসতে জানে না, সে আপনাকে কিভাবে ভালোবাসবে? আপনি একদিন ভালো না বাসলে সে আপনার হাত কেটে দিবে.. 😬
রিলেশনশীপ কিংবা বিয়ের পর কখনো কখনো মেয়েরা নিজের অজান্তেই নিজেদেরকে আস্তে আস্তে প্রকাশ করতে থাকে, অথচ একটা ছেলে স্বভাবতই ফাইনাল স্টেজ পর্যন্ত নিজের প্রিয় মানুষের সবকিছু জানতে চায়.. অথচ যখন সব জানা হয়ে যায়, মেয়েটার স্বভাব, চাল-চলন, সৌন্দর্য, দুর্বলতা, চিন্তাভাবনা গুলো যখন ছেলেরা জেনে যায়, তখন পুরোনো হয়ে যায় মেয়েটা..
মেয়েরা প্রচুর অভিমানী! কারণ তারা প্রচুর ভালোবাসতে পারে.. স্বামী মারা গেলে মেয়েরা সহজে বিয়ে করে না, বউ মারা গেলে সংসার চালানোর দোহাই দিয়ে ছেলেরা বিয়ে করে নেয়.. প্রতিটা সম্পর্কতে যতই ঝগড়া লাগুক, বেশিরভাগ মেয়েরা কখনোই মন থেকে ঝগড়াটা করে না.. অথচ কোনো ছেলে তাদের এই hidden side টা সম্পর্কে জানে না বলে উল্টো মেয়েদের ভুল বোঝে..
কখনো কাউকে ভালোবাসার পর সে অন্য কারো হয়ে গেলে কিছু মানুষ তাকে আর দেখতে পারে না, অভিশাপ দেয়। কিছু মানুষ আজীবন তার জন্য মন খারাপ করে থাকে। কিছু মানুষ জোর করে তাকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনার জন্য। অথচ এগুলোর একটাও ভালোবাসা নাহ! প্রিয়মানুষটা নিজের না হলেও তাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত, যে তার জন্য আপনি একটা সময় ভালো ছিলেন, তার সাথে দেখা করে আপনি ভালো থাকতেন, জীবনে কিছু সুন্দর সময় কাটাতে পেরেছেন তাকে পাশে পেয়ে।
কাউকে ঠিক কোন কারণে ভালোবেসে ফেলা যায়, এটা কখনোই বের করা যায় না.. কেউ যদি আপনাকে কোনো নির্দিষ্ট কারণে ভালোবাসে, তাহলে সেটা সত্যিকারের ভালোবাসা না.. সত্যিকারের ভালোবাসাতে কোনো কারণ থাকে না, যাকে ভালোবাসা যায় তাকে এসিডে ঝলসানো মুখেও ভালোবাসা যায়..
