ছেলেদের চোখে মেয়েরা

প্রাচীন কাল থেকে যত ধরনের লেখক ছিলো কিংবা বর্তমান যুগে যত লেখক আছে প্রায় সবাই মেয়েদেরকে তাদের কবিতা, উপন্যাস, গল্পে রহস্যময়ী বলে আখ্যা দেন। কারন একজন লেখক বেশিরভাগ সময় নিজের অভিজ্ঞতা গুলো শেয়ার করেই তার সাহিত্যকর্ম বানান। মহাবিশ্বে যেকোনো একটা জিনিসের দুটো গুন থাকে, একটা ভালো একটা খারাপ। কিন্তু একটা মেয়ের গুন খুঁজতে গেলে আপনাকে তার কিছু জিনিস খারাপ মনে হবে যদিও সেটা আপাতদৃষ্টিতে ভালো। আবার অনেক মেয়ের অনেক কিছুই আপনার কাছে ভালো মনে হবে কিন্তু সেগুলো হয়ত খারাপ গুনের মধ্যে ছিলো।

ছেলেদের বয়স বারো কি তের হবার পরপরই মেয়েদের প্রতি আলাদা একটা কৌতূহল জাগে, এই কৌতূহল সময় যাওয়ার সাথে সাথে বাড়ে। এটা অন্যায় কিছু না, এটা প্রকৃতিগত ব্যাপার। এটা শুধু ছেলেদের জন্য না, মেয়েদের কৌতূহলও কম না ছেলেদের প্রতি। ছেলেরা অনেকে হয়ত এই জিনিসটা জানে না,  কারন তারা কখনো গার্লস স্কুলে পড়েনি।

কয়েকটা জিনিস আমরা ছেলেরা সাধারণত ভুল ভেবে থাকি একটা মেয়ের প্রতি। সেগুলো হচ্ছে-
ছেলেরা মনে করে একটা মেয়ের সাথে কথা বলতে যাওয়া মানে সেই মেয়েটা বাঘ-ভাল্লুক গোছের কিছু একটা। তাই ভয়ে আর লজ্জার কথা বলতে চায় না। সাধারণত গ্রামাঞ্চলের ছেলেরা এমনটা ধারনা করে। আরেক ধরনের ছেলে যারা জীবনে কখনো মেয়েদের সাথে কথা বলার কিংবা চলার সুযোগ পায়নি তারাও এমনটা মনে করে। আবার কিছু ছেলে আছে যারা নিজেদের অসুন্দর, আনস্মার্ট ভাবে, কিংবা দেখতে শুনতে ভালো না তারাও এই ধরনের কথা চিন্তা করে। আসলে মেয়েদের সাথে কথা বলতে হলে তিনটা কাজ করা লাগে। কথা স্বাভাবিকভাবে বলতে হবে, গলা কাঁপলে চলবে না। ওভার স্মার্টনেস বন্ধ করতে হবে। আপনি যা কিংবা যেরকম সেটাই মেয়েটার কাছে ১০০% প্রকাশ করতে হবে। কখনোই মেয়েটা শরীরের দিকে তাকিয়ে তার সাথে কথা বলা যাবে না। চোখে চোখ রেখে কথা বলতে হবে, এই জিনিসটা অনেক ছেলেদের কাছে অস্বস্তির কারন হলেও মেয়েরা এটাই পছন্দ করে।

মেয়েরা ভাব ধরে। খুব কমন একটা কথা এটা, এমন কোনো ছেলে নেই যে জীবনে অন্তত একবার হলেও বলেছে "ঐ মেয়েটা ভাব ধরছে, ঐ মেয়েটা খুব মুডি etc etc"! একটা জিনিস হচ্ছে কি ভাব ছেলেরাও ধরে, তবে সেটা বোঝা যায় না। একটা ছেলের কাছে একটা পরিচিত কিংবা অপরিচিত মেয়ে সবসময়ই কৌতূহলের কারন, তাই ছেলেটা কৌতূহলবশত মেয়েটার সাথে কথা বলতে চায়, জানতে চায় তাকে নিয়ে। কিন্তু বেশিরভাগ মেয়েদের একটা স্বভাব হচ্ছে নিজেকে গুটিয়ে রাখা। প্রায় পাঁচজনের মধ্যে চারজন মেয়েই এমন। আপনি যত প্রশ্ন করবেন তাকে সে তত বিরক্ত হবে। এই বিরক্ত হওয়াকে আপনার ভাষ্যমতে ভাব ধরা। একটা মেয়ে তখনি ভাব ধরে যখন সে বুঝতে পারে আপনি তার প্রতি ইন্টারেস্টেড। কিংবা মেয়েটা যখন বুঝতে পারে সে একটা জায়গায়, একটা অফিসে, একটা ক্লাসে, একটা ডিপার্টমেন্টে, একটা সোসাইটিতে সবার কাছে খুব ফেমাস ঠিক তখনি সে ভাব ধরা শুরু করে, এটা মেয়েদের একটা কমন ট্যান্ডেন্সি। তাই আপনার উচিত এসব মেয়েদের প্রতি ইন্টারেস্ট না দেখানো। আপনি যেমন ঠিক তেমন আচরণ করা তার সাথে, তার প্রতি এক্সট্রা এটেনশন দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই, আপনার এত ঠেকা নেই যে মেয়েটাকে নিয়ে সব জানতেই হবে আপনাকে। তবে আপনি যদি কোনো কারনে পছন্দ করে ফেলেন তাকে, নিজের লাইফ পার্টনার বানানোর চিন্তাভাবনা করেন তাহলে সেটা ভিন্ন কথা।

ছেলেদের কাছে সুন্দরি হওয়াটাই মেয়েদের যত দোষ। খেয়াল করবেন একটা কালো মেয়ে যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিল্লাফাল্লা করে তখন লোকে এক নজর দেখেই চলে যায়, কয়েকজন হয়ত এগিয়ে আসে। কিন্তু একটা সুন্দরি, সুদর্শনা মেয়ে যদি চিল্লাফাল্লা করে তাহলে ছেলেদের সমস্যা। তারা এগিয়ে আসবেই, ঝগড়া থামাতে না, মেয়েটাকে তাদের ক্ষমতা দেখার জন্য। যদি মেয়েটা যুক্তিগত কারনে চিল্লায় তবে ঠিক আছে, তার সামনে নায়ক হওয়াটা একটা ছেলের বাধ্যতামূলক কাজ। কিন্তু মেয়েটা অযৌক্তিকভাবে চিল্লাফাল্লা করলে সে অসামাজিক, ঝগড়াইট্টা, স্বভাব ভালো না।  তাহলে কালো মেয়েটার কি দোষ ছিলো? এখানে চেহারা আর বাহ্যিকতাই দোষ। যে মেয়ে যত সুন্দর হবে তার দোষ তত বেশি হবে। কারন ছেলেরা একটা সুন্দরী মেয়ের সামান্য ভালো কাজের জন্য প্রশংসায় গা ভাসিয়ে দেয়, আবার সেই ছেলেরাই একটা সুন্দরী মেয়ের সামান্য একটা দোষ বা খুঁতকে মেনে নিতে পারে না। কালো মেয়েদের শুনতে হয় ঘরের লোকের কথা (ব্যতিক্রমও আছে) আর ফর্সা মেয়েদের শুনতে হয় বাইরের লোকদের কথা।

মেয়েরা একটা ছেলের খুব ভালো বন্ধু হতে পারে, কিন্তু একটা ছেলে কখনোই একটা মেয়ের খুব ভালো বন্ধু হতে পারে না। ছেলেটার সেই বন্ধুত্বে দৈহিক এবং মানসি চাহিদা থাকে। মেয়েরা তাদের ছেলে বন্ধুদের প্রায় সব কাজেই মজা পায় কারন একটা ছেলে তার মেয়ে বন্ধুকে প্রায় সময় হাসাতে পছন্দ করে। তাই কোনো জায়গায় ছেলে আর মেয়েরা আড্ডা জমালে ছেলেরা বকবক করতে থাকে আর মেয়েরা সেটা শুনে হাসতে থাকে। মেয়েরা সব জায়গাতে একটু আশ্রয় চায়, হোক সেটা ফ্যামিলি, স্বামী, হোক সেটা একটা ছেলে ফ্রেন্ড। যখন একটা ছেলে পরিক্ষায় খারাপ করে, ক্লাস মিস দেয়, কিংবা কোনো কিছু করতে ভুলে যায় তখন তার মেয়ে ফ্রেন্ডটি খুব রাগ করে, এর কারন হচ্ছে সেই মেয়েটা ছেলের ভালো চায়। তবে সব মেয়ে এরকম না। কিছু মেয়ে আছে যারা একদমই কেয়ারলেস। তাদের আশেপাশে কি ঘটছে না ঘটছে সেটার দিকে অত খেয়াল করে না। তাই তাদের ছেলে বন্ধুটার কোনো ক্ষতি হলো নাকি না হলো সেটা তাদের মাথাব্যথা না। মেয়েরা তাদের ছেলে বন্ধুকে ভাইয়ের চোখে দেখলেও ছেলেরা অনেকাংশেই নিজের বোনের মত মনে করতে পারে না তাদের মেয়ে বন্ধুটিকে। আপনি এমন কোনো ছেলেকে খুঁজে পাবেন না যার একটা ভালো মেয়ে বন্ধু ছিলো এবং সে সেই বন্ধুটিকে নিয়ে মনে মনে স্বপ্ন দেখেনি। ছেলেরা রাতে ঘুমানোর আগে বিভিন্ন কাহিনী কল্পনা করে, যেসব কাহিনী আমরা বাস্তবে সিনেমা গুলোতে দেখি। এসব কাহিনীতে তার মেয়ে বন্ধুটা হয় নায়িকা, সে নিজে হয় নায়ক। মাঝেমাঝে তার বন্ধুটিকে ভালো লেগে গেলেও বলতে পারে না। তখন ছেলেদের মধ্যে একটা হিংসুটে ভাব চলে আসে। তার বন্ধুটি অন্য কোনো ছেলের সাথে কথা বললে তার রাগ হয়, কষ্ট হয়, ফেসবুকে এক্টিভ থাকলে তাকে মেসেজ না দিলেও তার ভেতরটা জ্বলে। এটা হচ্ছে ছেলেদের একটা মানসিকতা, যেটার পরিনতি খুব একটা ভালো না।

ছেলেরা একটা জিনিস যেভাবে ভাবে, মেয়েরা সেটা ঠিক সেভাবে ভাবে না। ছেলেদের ব্রেইনের ধূসর কোষগুলো এমনভাবে তৈরি যে যখন তারা নির্দিষ্ট একটা বিষয় নিয়ে চিন্তা করে, কথা বলে, তখন তাদের বিষয়টা ঠিক সেই বিষয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু একটা মেয়ে যখন কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করে, কথা বলে, তখন সেই বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত আরো যত বিষয় ছিলো সেগুলোকেও টেনে আনতে পারে সে। হয়ত আপনি আর আপনার স্ত্রী কোনো একটা বিষয় নিয়ে ঝগড়া লাগলেন, বিষয়টা হচ্ছে ফ্রিজে ঠান্ডা পানি ঢোকানোর বিষয় নিয়ে। আপনার স্ত্রী ফ্রিজে ঠান্ডা পানি রাখেনি তাই আপনি তার উপর রাগ করলেন, ঝগড়া শুরু করলেন। আপনার বিষয় এখানে শুধু একটা, ফ্রিজে কেনো সে ঠান্ডা পানি রাখেনি সে। কিন্তু আপনার স্ত্রী আপনাকে এই বিষয়ের পাশাপাশি আরো অনেক বিষয় টেনে নিয়ে আসবে ঝগড়াকালীন সময়। তিনি বলবেন "রান্না করে কূল পান না ঠান্ডা পানি ঢোকাবো কিভাবে, ঘরে দু-চারটে কাজের বুয়া রাখলে না কেনো তোমার সব কাজ করে দিতো, ফ্রিজ কিনেছো আমার বাবার দেয়া টাকায় আবার বড় বড় কথা, তুমি বাজারে যাওয়ার আগে ঢুকিয়ে রাখতে পারলে না, ফোন করে বলে দিতে পারলে না? তোমার ছেলেকে বলো, ও তো একটা কাজও করে না সংসারে!" ইত্যাদি ইত্যাদি!! অর্থাৎ ছেলে আর মেয়েদের মাঝে ঝগড়াতে বেশি জয় পায় মেয়েরাই, কারন তাদের ব্রেনের কোষগুলো ছেলেদের থেকে বেশি শার্প। আমরা একদিক দিয়ে যেকোনো জিনিস চিন্তা করি, ওরা করে বহুদিক দিয়ে।

ছেলেদের আরো একটা ভুল ধারনা হচ্ছে মেয়েটা আমাকে কেনো রেসপন্স করছে না। এরকম হয় যখন নতুন নতুন কাউকে ভালো লাগে কোনো ছেলের। কিংবা সে হতে পারে ছেলেটার ফ্রেন্ড। হয়ত মেয়েটা সামনে বসে আছে ছেলেটার দিকে তাকাচ্ছে না, ফেসবুকে অনলাইনে বসে আছে কিন্তু মেসেজ দিচ্ছে না, ক্লাসে পাশের সিটেই বসেছে কিন্তু আমাকে কেনো খেয়াল করছে না, রিক্সা দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু আমাকে কেনো দেখলো না এরকম অসংখ্য ভিত্তিহীন আবেগ এবং ভুলত্রুটি  নিয়ে কিছু ছেলে বসে থাকে। তারা এটা বোঝে না যে মেয়েটা তাদের সাথে আসলে এড়িয়ে চলার মত আচরণ করছে না, মেয়েটা প্রতিদিন যেভাবে চলাফেরা করার কথা ঠিক সেভাবেই চলাফেরা করছে। মেয়েটা হয়ত তখনো জানে না আপনি তাকে পছন্দ করেন। এটা হঠাৎ করে কোনো মেয়েই বোঝে না, বোঝানোর দায়িত্ব হচ্ছে ছেলেদের। কারন মেয়েরা গুটিয়ে রাখতে চায় নিজেকে, চায় কেউ একজন তাকে প্রপোজ করুক।

একটা সাধারণ ছেলের থেকে একটা মেয়ে বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে চায়। কিন্তু যে মেয়ে যত সুদর্শনা সেই মেয়ে কালো কিংবা শ্যামলা ছেলেকেই পছন্দ করে বেশি। সুন্দর,ধবধবে ফর্সা ছেলেরা তাদের কাছে একটু বেমানান, কারন মেয়েরা শক্ত-কঠিন-শ্যামলা ছেলেদেরকে পুরুষ বলে মনে করে। তবে কিছু মেয়ে ফর্সা ছেলেদের পছন্দ করে। প্রতিটা মেয়ে তার লাইফ পার্টনার হিসেবে তার থেকে বয়সে বড় এবং লম্বা ছেলে চয়েজ করে। কারন ফ্যামিলিতে মেয়েরা নেতা হয়ে থাকতে চায় না, সে চায় তাকে কেউ পরিচালনা করুক, তার ভুল হলে তাকে কেউ শাসন করুক।

একটা মেয়ে যদি আপনার সাথে প্রথম দেখাতে আপনাকে অপছন্দ করে ফেলে তবে সেটা বেশ ঝামেলার। কারন মেয়েরা খুব দ্রুত কোনো কিছুর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এসব সিদ্ধান্ত অনেকাংশে ভুল হয়ে যায়। কিন্তু যদি ধীরেসুস্থে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তারা তবে সেটা ছেলেদের চেয়ে অনেক গুন ভাল হয়। যদি কোনো মেয়ে আস্তে আস্তে আপনার সম্পর্কে নেগেটিভ ধারনাটা কাটিয়ে উঠতে পারে, আপনাকে ভালোমানুষ হিসেবে বুঝতে পারে তবে নিঃসন্দেহে আপনি তার কাছে অন্যান্য ছেলেদের চেয়েও অনেক ভালো একটা ছেলে।

ছেলেদের মত একটা মেয়ে হুট করে খারাপ হয়ে যায় না। মেয়েদের সহ্যক্ষমতা আশ্চর্যজনক ভাবে বেশি ছেলের তুলনায়। যখন তারা কারো অবহেলার পাত্র হয়, যোগ্য হবার সত্ত্বেও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় কিংবা খুব বিশস্ত কারো কাছ থেকে ধোঁকা খায় তখন তারা নিজেকেরকে আর প্রকৃতির সাথে মিলিয়ে নিতে পারে না, প্রকৃতির খেলার বস্তুতে পরিনত হয়। মেয়েদের মন একবার অন্যদিকে ঘুরে গেলে সেটাকে ফেরানো অনেক কঠিন, সেজন্য ছেলেদের থেকে মেয়ে মানসিক রোগীদের সংখ্যা বেশি, ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি আত্নহত্যা করে।

মেয়েরা অনেকেই ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথা বললেও তারা ছেলেদের কাছ থেকে এই ধরনের কথা শুনতে পছন্দ করে না, তারা সরাসরি কথা বলার মত ছেলেদের বেশি প্রাধান্য দেয়। নাটক কিংবা ড্রামা করা ছেলেরা প্রায় বেশিরভাগ মেয়েদের মাথাব্যথার কারন। যখন একটা মেয়ে বুঝতে পারে কেউ তাকে পাত্তা দিচ্ছে না, কেউ তার উপস্থিতিকে আমলে নিচ্ছে না তখন তারা সেই মানুষটাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাই একটা মেয়ের নজরে আসার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে তাকে ignore করা, তাকে বুঝতে দেয়া যে আপনি তাকে নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন। তখন আপনি আর সবার মত হবেন না সেই মেয়েটার চোখে, সেই মেয়েটা মনে মনে incomplete অনুভব করবে তার মধ্যে কি এমন কম ছিলো যার জন্য আপনি তার প্রতি কোনো ইন্টারেস্ট দেখাচ্ছেন না!

একজন মেয়েকে কখনোই আপনার competitor বানাবেন না। এটা করার মানে হচ্ছে নিজেকে ছোট করা। কারন জগতের প্রতিটা মানুষের ক্ষমতা সমান, কিন্তু তাদের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রটা ভিন্ন। আপনার সামর্থ্য যতটুকু, আপনার স্ত্রীর সামর্থ্য, আপনার বান্ধবীর সামর্থ্য, আপনার বোনের সামর্থ্য কোনো অংশে আপনার চেয়ে কম না।